Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের বিলুপ্ত বন্যপ্রাণী ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। - পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

2025-03-03

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৫:

বাংলাদেশের বিলুপ্ত বন্যপ্রাণী ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

ঢাকা,  ৩ মার্চ ২০২৫;
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রাণীগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ময়ূর পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি। সাফারি পার্কে ময়ূর অবমুক্ত করা হয়েছে, এবং প্রকৃতিতেও তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। মধুপুর শালবনে নতুন করে ১৫০ একর এলাকায় প্রকৃতিবান্ধব বনায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বন ভবনে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল: "বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন"।

উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য আমাদের গর্বের বিষয়, কিন্তু একইসঙ্গে এটি নানা হুমকির মুখে রয়েছে। তবে আশার বিষয়, ইতিবাচক অনেক পরিবর্তনও ঘটছে। একটি সুসংবাদ দিতে চাই—আমাদের বন অধিদপ্তরের জন্য নতুন ৩৬০টি পদের অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি আমাদের বন সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষার প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে।

উপদেষ্টা সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আগুনের পুনরাবৃত্তি রোধে আমাদের আরও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বনভূমি ও বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। আমরা চাই, চিড়িয়াখানাগুলো প্রাণীদের জন্য আরও উন্নত বাসস্থান হোক। সাফারি পার্কগুলোর কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে প্রাণীগুলো মুক্ত পরিবেশে চলাফেরা করতে পারে। পাশাপাশি, সাফারি পার্কগুলোর চিকিৎসা সুবিধা বাড়াতে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হাতির করিডোর তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী মাস থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, এ বছর আমরা বহু মেছোবিড়াল উদ্ধার করেছি, এবং প্রথমবারের মতো ‘মেছোবিড়াল দিবস’ পালন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

উপদেষ্টা বলেন, বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা কেবল বন্যপ্রাণী ফিরিয়ে আনাই নয়, তাদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থলও নিশ্চিত করতে চাই। প্রকৃতি, বন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে মানুষের সচেতনতা ও অংশগ্রহণই আমাদের মূল শক্তি।

মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রধান বন সংরক্ষক, বন অধিদপ্তর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মোঃ খায়রুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্বে), পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং  ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ, প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ওয়াইল্ডলাইফ স্পেশালিস্ট, দুবাই সাফারি পার্ক, দুবাই।

বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন ড. মোহাম্মদ ফিরোজ জামান, অধ্যাপক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি, বাংলাদেশ এবং ইমরান আহমেদ, বন সংরক্ষক, খুলনা অঞ্চল, বন অধিদপ্তর; মোঃ ছানাউল্যা পাটওয়ারী, বন সংরক্ষক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, বন অধিদপ্তর এবং এ বি এম সারোয়ার আলম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, আইইউসিএন বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা "এসো চিনি বন্যপ্রাণী" এবং "ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি” প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞগণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্যপ্রাণী বিষয়ে স্বতন্ত্র বিভাগ প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

স্বাক্ষরিত/-
দীপংকর বর,
জনসংযোগ কর্মকর্তা,
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৭১০৯২৯৫৯৬